ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা আর নেই
ফুটানো পানি কি নিরাপদ?
“সুস্থ জীবনের জন্য বিশুদ্ধ পানি পান করুন
আপনার পরিবারকে নিরাপদ রাখুন”
সমগ্র বিশ্ব জুড়ে বিশুদ্ধ পানির পরিমান খুব দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে ৮০% মানুষ অসুস্থ হচ্ছে কেবলমাত্র বিশুদ্ধ পানির অভাবে এবং বাংলাদেশে ৩৫% লোক মারা যাচ্ছে পানিবাহিত নানাবিধ রোগের কারনে। এক সময় গ্রামাঞ্চলে নলকূপের পানিকে বিশুদ্ধ বলে মনে করা হতো। কিছু সেখানেও রয়েছে আর্সেনিকের তীব্র বিষক্রিয়া। আসেনিক আজ এক জাতীয় সমস্যা। বাংলাদেশের ৬০% ভূ—গর্ভস্থ পানিতে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিক পাওয়া যাচ্ছে। গতানুগাতিক পদ্ধতিতে পানি ফুটিয়ে শুধুমাত্র জীবানু মারা গেলেও তাদের মৃতদেহ পানিতে থেকে যায়। ফলে অনেক সময় পানি গন্ধযুক্ত হয়ে থাকে। দ্রবীভূত অনাঙ্খিত কঠিন পদার্থের পরিমান অপরিবর্তিত থাকে।
এই ধরনের পানি সমস্যার সমাধানে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি Reverse Osmosis (R O) পদ্ধতি হিসেবে স্বীকৃত। এই প্রযুক্তিতে পানি ১০০% বিশুদ্ধ ও জীবানুমুক্ত হয়।

Reverse Osmosis (R O) পদ্ধতিতে পানির মাধ্যমে মানবদেহে যা কিছু প্রয়োজন তার প্রতিটি উপাদানই সন্দেহাতীতভাবে পরিমিত মাত্রায় বিদ্যমান থাকে। Reverse Osmosis (R O) পদ্ধতিতে পরিশোধিত যে কোন ব্রান্ডের পানি আপনার বাসগৃহ, অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ক্লিনিক, হোটেল, রেষ্টুরেন্ট অনায়াসে ব্যবহার করতে পারেন।
Reverse Osmosis Membrane ফিল্টারের ব্যাস হচ্ছে ০.০০০১ মাইক্রোমিটার। ফলে এই ফিল্টার ভেদ করে পানি ছাড়া অন্য কিছু অতিক্রম করতে পারে না। পানিকে বিশুদ্ধ করার জন্য পৃথিবীতে যত রকমের পদ্ধতি আছে তার মাধ্যে আমেরিকার রিভার্স অসমোসিস প্রযুক্তি সর্বশ্রেষ্ঠ। কেননা একমাত্র এই প্রযুক্তিতে পানি সম্পূর্ণ জীবনমুক্ত করা সম্ভব।
পানি প্রাকৃতিক সম্পদ। আমাদের স্বাভাবিক জীবন চক্রের অপরিহার্য অংশ পানি। প্রতিটি প্রানীকে তার জীবনধারনের জন্য নূন্যতম পরিমান পানি ব্যবহার করতে হয়। সুস্থ জীবনের জন্য বিশুদ্ধ পারি পান করুন আপনার পরিবারকে নিরাপদ রাখুন।
আপনি জানেন কি?
দূষিত পানি পান করে এশিয়ায় প্রতি বছর কমপক্ষে ৫,০০,০০০/— (পাঁচ লক্ষ) লোক মারা যায়।
সূত্র: রিসার্চ রেফারেন্স সেল, দৈনিক জনকন্ঠ ০৯/০৮/২০০০ ইং
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরিপে বলা হয়েছে শতকরা ৭৫—৮০ ভাগ ক্যান্সার পানি এবং পরিবেশ থেকে সৃষ্ট।
সূত্র: ফর এভার লিভিং পত্রিকা।
খাবার পানিতে এ পর্যন্ত ৭০০ টি অর্গানিক কেমিক্যাল সনাক্ত হয়েছে— যার কিছু অংশ ক্যান্সার সৃষ্টিতে দায়ী।
বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ৬১ টি জেলার শতকরা ৬০ ভাগ স্থানে পানিতে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিক পাওয়া গেছে, যা মরনঘাতী ত্বকের ক্যান্সার, গাল—ব্লান্ডার, লিভার, কিডনি, জন্ডিস, রক্তচাপ ইত্যাদি রোগ সৃষ্টিতে অনেকাংশে দায়ী।
ঢাকা বা অন্যান্য শহরে ওয়াসা বা পৌর কর্পোরেশন প্রদত্ত পাইপ লাইনের মাধ্যমে আমরা পানি পাই, কিন্তু এই পানি কতটা বিশুদ্ধ? এছাড়া দেশের বাকি অংশের মানুষ নলকূপ থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করে যার উল্লেখযোগ্য অংশ বিষাক্ত আর্সেনিক দূষনে দুষ্ট। খাল, বিল ও পুকুরের পানিও জীবানুমুক্ত নয়। তাহলে উপায় কি?
একমাত্র রিভার্স অসমোসিস প্রক্রিয়ায় পরিশোধিত পানি ১০০% বিশুদ্ধ ও নিরাপদ।