| 
জাতীয় | 
জেলার খবর | 
সর্বশেষ সংবাদ | 

ডিএফ,চেয়ারম্যান মেম্বার ও প্রকল্প সভাপতির যোগ সূত্রে সোনাইমুড়ীতে প্রকল্পের টাকা পুকুর চুরি

Logo
জাতীয় | 
জেলার খবর | 
সর্বশেষ সংবাদ | 
অনুপ সিংহ
প্রকাশিত: November 23, 2022

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে এল জি এস পি ও ১% প্রকল্পের টাকা নয় ছয় করে হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ডিএফ,চেয়ারম্যান মেম্বার ও প্রকল্প সভাপতিরাদের বিরুদ্ধে।

১০টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ৮ টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বার ও প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা এলজিএসপি ১১০ টি ও ১% ৯০ টি প্রকল্পের অধিকাংশ প্রকল্পের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি ২০২০- ২০২১ ও ২০০২১- ২০২২ অর্থ বছরে এল জি এস পি-৩ প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তির টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়া হয়। জানা যায়, ২০২০- ২০২১ ও ২০২১- ২০২২ অর্থবছরে লোকাল গভর্নেন্স সাপোর্ট প্রজেক্ট এল জি এস পি-৩ নামে এ প্রকল্পটি প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তিতে উপজেলার জয়াগ ইউনিয়নে ৭টি প্রকল্পে ১৬ লক্ষ টাকা, নদনা ইউনিয়নে ৮টি প্রকল্পে ১৬ লক্ষ টাকা, চাষির হাট ইউনিয়নে ৪টি প্রকল্পে সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা,বারগাও ইউনিয়নে ১৫ টি প্রকল্পে ১৬ লক্ষ টাকা, অম্বরনগর ইউনিয়নে ১০টি প্রকল্পে ১৬ লক্ষ টাকা,নাটেশ্বর ইউনিয়নে২১ টি প্রকল্পে ২৭ লাখ, বজরা ইউনিয়নে ৮ টি ১৩ লক্ষ টাকা, সোনাপুর ইউনিয়নে ১০টি প্রকল্পে ১০ লক্ষ টাকা,দেওটি ইউনিয়নে ৮ টি প্রকল্পে ১৪ লক্ষ টাকা, আমিশাপাড়া ইউনিয়নে ৫টি প্রকল্পে ১২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়।
সোনাইমুড়ীর নাটেশ্বর ইউনিয়নে ২১টি প্রকল্পের মধ্যে ৯টির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। প্রকল্পের মধ্য নাটেশ্বর কুলি বাড়ির সামনে গাইড ওয়াল নির্মাণ ১ লক্ষ টাকা জামাল মেম্বার কোন রকম কাজ করিয়ে বাকি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। নাটেশ্বর খালেক হাজী বাড়ির পোল থেকে মাদ্রাসা পর্যন্ত রাস্তার সলিং ২ লক্ষ টাকা,মির্জানগর ওয়ারিশী বাড়ি রাস্তা সলিকরণ ১ লক্ষ টাকা,মির্জানগর কুদরৎ উল্লাহ হাজী বাড়ির সামনে গাইডওয়াল নির্মাণ ১ লক্ষ টাকা কাজের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।অন্যান্য কাজেও নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নাটেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন খোকন বলেন, আপনারা কাজের কেন তালিকা নিবেন। কাজ ভালোই হয়েছে। কাজে কোন অনিয়ম হয়নি।
ডিস্ট্রিক্ট প্রেসিলেটর ( ডিএফ)আহসানুল্লাহ চৌধুরী মামুন বলেন, তিনি এলজিএসপি প্রকল্প থেকে কোন ধরনের উৎকোচ গ্রহণ করেননি। তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেন তিনি।
নাটেশ্বর ইউনিয়নের বাসিন্দা ও আব্দুল মালেকের ছেলে ইউনুস জানান, তাদের এলাকায় এলজিএসপি প্রকল্পের ও ওয়ান পার্সেন্ট প্রকল্পের সিংহভাগ টাকা কাজ না করেই হাতিয়ে নিয়েছে।
ডিস্ট্রিক্ট ফেসিলেটর ডিএফ আহসানুল্লাহ চৌধুরী মামুন এর বিরুদ্ধে এলজিএসপির প্রকল্প সভাপতি চেয়ারম্যান দের কাছ থেকে উৎকোচ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
জনৈক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাম প্রকাশ না করা শর্তে জানান, এজিএসপি বরাদ্দ থেকে ডিস্ট্রিক্ট প্রেসিলেটর ডিএফ আহসানুল্লাহ চৌধুরী মামুন ২০ ভাগ টাকা উৎকোচ নিয়েছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কার্যালয় ও ডিএফ এর উৎকোচ নেয়ায় শতভাগ কাজ করা সম্ভব হয়নি। তাদেরকেই ম্যানেজ করে কাজে নয় ছয় করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
জানা যায়, সোনাইমুড়ীতে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে স্থানীয় সরকার প্রকল্পের এলজিএসপি-৩ ও ১% প্রকল্পের কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ৮ টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বার ও প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা এলজিএসপি ১১০ টি ও ১% ৯০ টি প্রকল্পের অধিকাংশ প্রকল্পের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়ায়নি২০২০- ২০২১ ও ২০০২১- ২০২২ অর্থ বছরে এল জি এস পি- ৩ প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তির টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়া হয়।

সোনাইমুড়ীর বারগাঁও ইউনিয়নে ১৫টি প্রকল্পের মধ্যে ৬টির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। প্রকল্পের মধ্য রাজিবপুর পশ্চিমপাড়া ইউসুফ বেপারী বাড়ির পুকুর পাড়ে গাইড ওয়াল নির্মাণে ১ লাখ ২ হাজার টাকা বরাদ্দ করিয়ে দিতে পলাশ মেম্বার ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। কাজেও নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে।
বারগাঁও ইউনিয়নের রাজিব পুর বড় বাড়ির কোনা হইতে পূর্ব দিকে দিঘির পাড় পর্যন্ত রাস্তা সলিং নির্মান ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দিলেও প্রকল্পের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি।
বারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামছুল আলম বলেন, বিষয়টি পলাশ মেম্বার জানেন।
নোয়াখালী জেলা ডিস্ট্রিক্ট প্যাসিলেটর( এলজিএসপি) মামুন চৌধুরী বলেন, তার জানা মতে কাজ করেছে। তবুও বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।
বারগাঁও ইউনিয়নের রাজিব পুর গ্রামের নজির মিয়ার ছেলে টিপু সুলতান জানান, কাজ না করেই টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক একজন সাবেক জনপ্রতিনিধি বলেন, শুধু এলজিএসপি প্রকল্পের টাকা নয়,১% এর টাকা কাজ না করেই নয়ছয় করেছে চেয়ারম্যান মেম্বাররা।

১% এর টাকা দিয়ে এ উপজেলার একটি ইউনিয়নের ২১ দিনের মধ্যে ২ বারও রং করার অজুহাত দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

%d bloggers like this: